পূরবী
সঁপি দিব সুখ দুঃখ আশা ও নৈরাশ্য যত-কিছু
                             তব বীণাতারে—
ধরিবে গানের মূর্তি, একান্তে করিয়া মাথা নিচু
                             শুনিব তাহারে।
দেখিব তাদের যেথা ইন্দ্রধনু অকস্মাৎ ফুটে,
দিগন্তে বনের প্রান্তে উষার উত্তরী যেথা লুটে,
বিবাগী ফুলের গন্ধ মধ্যাহ্নে যেথায় যায় ছুটে—
                      নীড়ে-ধাওয়া পাখির ডানায়
সায়াহ্নগগন যেথা দিবসেরে বিদায় জানায়।

 

সেদিন আমার রক্তে শুনা যাবে দিবসরাত্রির
                        নৃত্যের নূপুর।
নক্ষত্র বাজাবে বক্ষে বংশীধ্বনি আকাশযাত্রীর
                        আলোকবেণুর।
সেদিন বিশ্বের তৃণ মোর অঙ্গে হবে রোমাঞ্চিত,
আমার হৃদয় হবে কিংশুকের রক্তিমালাঞ্ছিত;
সেদিন আমার মুক্তি, যবে হবে, হে চিরবাঞ্ছিত,
                      তোমার লীলায় মোর লীলা—
যেদিন তোমার সঙ্গে গীতরঙ্গে তালে তালে মিলা।