শিশু

মনে হত, তোমার ছায়ে

       কতই যে কী আছে,

  কাদের যেন ঘুম পাড়াতে

       ঘুঘু ডাকত গাছে।

  মনে হত, তোমার মাঝে

       কাদের যেন ঘর।

  আমি যদি তাদের হতেম!

       কেন হলেম পর।

  ছায়ার মতো ছায়ায় তারা

       থাকে পাতার ’পরে,

  গুন্‌গুনিয়ে সবাই মিলে

       কতই যে গান করে।

  দূর লাগে মূলতানে তান,

       পড়ে আসে বেলা,

  ঘাটে বসে দেখে জলে          

       আলোছায়ার খেলা।

  সন্ধে হলে খোঁপা বাঁধে

       তাদের মেয়েগুলি,

ছেলেরা সব দোলায় ব’সে

       খেলায় দুলি দুলি।

তোমার পানে রইত চেয়ে

      অবাক দুনয়নে?     

তোমার তলে মধুর ছায়া

       তোমার তলে ছুটি,

তোমার তলে নাচত বসে

        শালিখ পাখি দুটি।

  গহিন রাতে দখিন বাতে

       নিঝুম চারি ভিত,

  চাঁদের আলোয় শুভ্র তনু,

       ঝিমি ঝিমি গীত।

  ওখানেতে পাঠশালা নেই,

       পণ্ডিতমশাই—