পরিশেষ

           নবযুগ-যাত্রাপথে দিবে নিত্য নূতন উদ্দেশ ;

                  সে বাণীর ধ্যান

           দীপ্যমান করি দিবে নব নব জ্ঞান

                 দীপ্তির ছটায় আপনার,

           এক সূত্রে গাঁথি দিবে তোমার মানসরত্নহার।

                 হৃদয়ে হৃদয়ে মিল করি

                       বহু যুগ ধরি

           রচিয়া তুলেছ তুমি সুমহৎ জীবনমন্দির,

                       পদ্মাসন আছে স্থির,

           ভগবান বুদ্ধ সেথা সমাসীন

                   চিরদিন —

           মৌন যাঁর শান্তি অন্তহারা,

           বাণী যাঁর সকরুণ সান্ত্বনার ধারা।

 

      আমি সেথা হতে এনু যেথা ভগ্নস্তূপে

       বুদ্ধের বচন রুদ্ধ দীর্ণকীর্ণ মূক শিলারূপে,

           ছিল যেথা সমাচ্ছন্ন করি

                 বহু যুগ ধরি

                       বিস্মৃতিকুয়াশা

           ভক্তির বিজয়স্তম্ভে সমুৎকীর্ণ অর্চনার ভাষা।

                 সে অর্চনা সেই বাণী

                        আপন সজীব মূর্তিখানি

           রাখিয়াছে ধ্রুব করি শ্যামল সরস বক্ষে তব,

                 আজি আমি তারে দেখি লব —

                       ভারতের যে মহিমা

           ত্যাগ করি আসিয়াছে আপন অঙ্গনসীমা

                 অর্ঘ্য দিব তারে

           ভারত-বাহিরে তব দ্বারে।

                 স্নিগ্ধ করি প্রাণ

               তীর্থজলে করি যাব স্নান

                     তোমার জীবনধারাস্রোতে,

               যে নদী এসেছে বহি ভারতের পুণ্যযুগ হতে —

                      যে যুগের গিরিশৃঙ্গ- ' পর

                 একদা উদিয়াছিল প্রেমের মঙ্গলদিনকর।