পূরবী
চকিতে চকিতে চলচাহনিতে
           ভুলায়েছ বারে বারে।

 

নদীকূলে-কূলে কল্লোল তুলে
           গিয়েছিলে ডেকে ডেকে।
বনপথে আসি করিতে উদাসী
           কেতকীর রেণু মেখে।
বর্ষাশেষের গগন-কোনায়-কোনায়
সন্ধ্যামেঘের পুঞ্জ সোনায় সোনায়
নির্জন ক্ষণে কখন অন্যমনায়
           ছুঁয়ে গেছ থেকে থেকে—
কখনো হাসিতে কখনো বাঁশিতে
           গিয়েছিলে ডেকে ডেকে।

 

কী লক্ষ্য নিয়ে এসেছ এ বেলা
           কাজের কক্ষ-কোণে।
সাথি খুঁজিতে কি ফিরিছ একেলা
           তব খেলা-প্রাঙ্গণে।
নিয়ে যাবে মোরে নীলাম্বরের তলে
ঘরছাড়া যত দিশাহারাদের দলে,
অযাত্রা-পথে যাত্রী যাহারা চলে
           নিষ্ফল আয়োজনে?
কাজ ভোলাবারে ফেরো বারে বারে
           কাজের কক্ষ-কোণে।

 

আবার সাজাতে হবে আভরণে
           মানসপ্রতিমাগুলি?
কল্পনাপটে নেশার বরনে
           বুলাব রসের তুলি?
বিবাগী মনের ভাবনা ফাগুন-প্রাতে
উড়ে চলে যাবে উৎসুক বেদনাতে,
কলগুঞ্জিত মৌমাছিদের সাথে