পূরবী
           প্রভাতের স্নিগ্ধ অবকাশ।
      তাদের চমক লাগে চম্পকশাখায়,
      কাঁপে তারা মৌমাছির গুঞ্জিত পাখায়,
সেতারের তারে তারে মূর্ছনায় তাদের আভাস
                বাতাসেরে করিল উদাস।

 

কালস্রোতে এ অকূলে          আলোচ্ছায়া দুলে দুলে
                চলে নিত্য অজানার টানে।
বাঁশি কেন রহি রহি             সে আহ্বান আনে বহি
                আজি এই উল্লাসের গানে?
           চঞ্চলেরে শুনাইছে স্তব্ধতার ভাষা,
           যার রাত্রি-নীড়ে আসে যত শঙ্কা আশা।
বাঁশি কেন প্রশ্ন করে, ‘বিশ্ব কোন্‌ অনন্তের পানে
                চলে নিত্য অজানার টানে।’

 

যায় যাক, যায় যাক,          আসুক দূরের ডাক,
                যাক ছিঁড়ে সকল বন্ধন—
চলার সংঘাত-বেগে            সংগীত উঠুক জেগে
                আকাশের হৃদয়-নন্দন।
           মুহূর্তের নৃত্যচ্ছন্দে ক্ষণিকের দল
           যাক পথে মত্ত হয়ে বাজায়ে মাদল।
অনিত্যের স্রোত বেয়ে যাক ভেসে হাসি ও ক্রন্দন,
                     যাক ছিঁড়ে সকল বন্ধন।