পূরবী
         তোমার প্রথম জন্মদিন
               ক্ষয়হীন—
যেমন প্রথম জন্ম নির্ঝরের প্রতি পলে পলে;
      তরঙ্গে তরঙ্গে সিন্ধু যেমন উছলে
                প্রতিক্ষণে
         প্রথম জীবনে।
                হে নূতন,
         হোক তব জাগরণ
        ভস্ম হতে দীপ্ত হুতাশন।

 

               ‘হে নূতন,
তোমার প্রকাশ হোক কুজ্ঝটিকা করি উদ্‌ঘাটন
         সূর্যের মতন।
       বসন্তের জয়ধ্বজা ধরি
শূন্য শাখে কিশলয় মুহূর্তে অরণ্য দেয় ভরি—
       সেই মতো, হে নূতন,
রিক্ততার বক্ষ ভেদি আপনারে করো উন্মোচন।
     ব্যক্ত হোক জীবনের জয়,
ব্যক্ত হোক তোমা-মাঝে অনন্তের অক্লান্ত বিস্ময়।’

 

     উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে।
                   মোর চিত্তমাঝে
         চির-নূতনেরে দিল ডাক
            পঁচিশে বৈশাখ।