সোনার তরী

তার পরে কভু উঠিয়াছে মেঘ

          কখনো রবি —

কখনো ক্ষুব্ধ সাগর, কখনো

          শান্তছবি।

বেলা বহে যায়, পালে লাগে বায় —

সোনার তরণী কোথা চলে যায়,

পশ্চিমে হেরি নামিছে তপন

          অস্তাচলে।

এখন বারেক শুধাই তোমায়,

স্নিগ্ধ মরণ আছে কি হোথায়,

আছে কি শান্তি, আছে কি সুপ্তি

          তিমিরতলে?

হাসিতেছ তুমি তুলিয়া নয়ন

          কথা না ব ' লে।

 

 

আঁধার রজনী আসিবে এখনি

          মেলিয়া পাখা,

সন্ধ্যা-আকাশে স্বর্ণ-আলোক

          পড়িবে ঢাকা।

শুধু ভাসে তব দেহসৌরভ,

শুধু কানে আসে জল-কলরব,

গায়ে উড়ে পড়ে বায়ুভরে তব

          কেশের রাশি।

বিকল হৃদয় বিবশ শরীর

ডাকিয়া তোমারে কহিব অধীর,

‘ কোথা আছ   ওগো   করহ পরশ

          নিকটে আসি। '

কহিবে না কথা, দেখিতে পাব না

          নীরব হাসি।