ছবি ও গান

বাঁধিবে সে বাহুপাশে,        চোখে তার স্বপ্ন ভাসে,

              মুখে তার হাসির মুকুল —

কে জানে বুকের কাছে       আঁচল আছে না আছে,

              পিঠেতে পড়েছে এলো চুল।

মুখে আধখানি কথা,        চোখে আধখানি কথা,

               আধখানি হাসিতে জড়ানো —

দুজনেতে চলে যাই,         কে জানে কোথায় যাই

              পদতলে কুসুম ছড়ানো।

 

বুঝি রে এমনি বেলা        ছায়ায় করিত খেলা

               তপোবনে ঋষিবালিকারা,

পরিয়া বাকলবাস,           মুখেতে বিমল হাস,

               বনে বনে বেড়াইত তারা।

হরিণশিশুরা এসে                     কাছেতে বসিত ঘেঁষে,

               মালিনী বহিত পদতলে —

দু-চারি সখীতে মেলি        কথা কয় হাসি খেলি

               তরুতলে বসি কুতূহলে।

কারো কোলে কারো মাথা, সরল প্রাণের কথা

              নিরালায় কহে প্রাণ খুলি —

লুকিয়ে গাছের আড়ে        সাধ যায় শুনিবারে

             কী কথা কহিছে মেয়েগুলি।

লতার পাতার মাঝে        ঘাসের ফুলের মাঝে

             হরিণশিশুর সাথে মিলি,

অঙ্গে আভরণ নাই,         বাকল-বসন পরি

             রূপগুলি বেড়াইছে খেলি।

 

ওই দূর বনছায়া             ও যে কী জানে রে মায়া ,

              ও যেন রে রেখেছে লুকায়ে —

সেই স্নিগ্ধ তপোবন,                  চিরফুল্ল তরুগণ,

              হরিণশাবক তরুছায়ে।

হোথায় মালিনী নদী                   বহে যেন নিরবধি,

              ঋষিকন্যা কুটিরের মাঝে —