মহুয়া

          সে যেন তুফান

যাহারে চঞ্চল করে সে তরীকে করে খানখান

          অট্টহাস্য আঘাতিয়া এপাশে ওপাশে ;

     প্রশ্রয়ের বীথিকায় ঘাসে ঘাসে

রেখেছে সে কণ্টক-অঙ্কুর বুনে বুনে ;

              অদৃশ্য আগুনে

          কুঞ্জ তার বেড়িয়াছে ;

              যারা আসে কাছে

          সব থেকে তারা দূরে রয় ;

     মোহমন্ত্রে যে হৃদয়

              করে জয়

     তারি'পরে অবজ্ঞায় দারুণ নির্দয়।

আপন তপস্যা লয়ে যে পুরুষ নিশ্চল সদাই,

              যে উহারে ফিরে চাহে নাই,

     জানি সেই উদাসীন

              একদিন

            জিনিয়াছে ওরে ;

জ্বালাময়ী তারি পায়ে দীপ্ত দীপ দিল অর্ঘ্য ভরে।

     বিদুষী নিয়েছে বিদ্যা শুধু চিত্তে নয়,

আপন রূপের সাথে ছন্দ তারে দিল অঙ্গময় ;

              বুদ্ধি তার ললাটিকা,

     চক্ষুর তারায় বুদ্ধি জ্বলে দীপশিখা ;

বিদ্যা দিয়ে রচে নাই পণ্ডিতের স্থূল অহংকার,

              বিদ্যারে করেছে অলংকার।

          প্রসাধনসাধনে চতুরা —

              জানে সে ঢালিতে সুরা

                   ভূষণভঙ্গিতে,

          অলক্তের আরক্ত ইঙ্গিতে।

          জাদুকরী বচনে চলনে ;

          গোপন সে নাহি করে আপন ছলনে ;

অকপট মিথ্যারে সে নানা রসে করিয়া মধুর

          নিন্দা তার করি দেয় দূর ;