গুরু

তৃতীয় যূনক। খুব পারি।

পঞ্চক। ওরে, তোরা আমাকে মাটি করলি রে। আমি আর থাকতে পারছি নে। তোদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে আর সাহস হচ্ছে না। এমন জবাব যদি আর-একটা শুনতে পাই তা হলে তোদের বুকে করে পাগলের মতো নাচব, আমার জাতমান কিছু থাকবে না। ভাই, তোরা সব কাজই করতে পাস? তোদের দাদাঠাকুর কিছুতেই তোদের মানা করে না?


যূনকগণের গান
সব কাজে হাত লাগাই মোরা, সব কাজেই।
         বাধাবাঁধন নেই গো নেই।
                   দেখি, খুঁজি, বুঝি,
     কেবল       ভাঙি, গড়ি, যুঝি,
     মোরা         সব দেশেতেই বেড়াই ঘুরে সব সাজেই।
                   পারি, নাই বা পারি,
      নাহয়        জিতি কিংবা হারি,
      যদি          অমনিতে হাল ছাড়ি, মরি সেই লাজেই।
                   আপন হাতের জোরে
      আমরা       তুলি সৃজন করে,
      আমরা       প্রাণ দিয়ে ঘর বাঁধি, থাকি তার মঝেই।

পঞ্চক। সর্বনাশ করলে রে –আমার সর্বনাশ করলে! আমার আর ভদ্রতা রাখলে না। এদের তালে তালে আমারও পা দুটো নেচে উঠছে। আমাকে সুদ্ধ এরা টানবে দেখছি। কোন্‌দিন আমিও লোহা পিটোব রে লোহা পিটোব –কিন্তু খেঁসারির ডাল –না না, পালা ভাই, পালা তোরা। দেখছিস না, পড়ব বলে পুঁথি সংগ্রহ করে এনেছি।


আর একদল যূনকের প্রবেশ

প্রথম যূনক। ও ভাই পঞ্চক, দাদাঠাকুর আসছে।

দ্বিতীয় যূনক। এখন রাখো তোমার পুঁথি, রাখো –দাদাঠাকুর আসছে।


দাদাঠাকুরের প্রবেশ

প্রথম যূনক। দাদাঠাকুর!

দাদাঠাকুর। কী রে?

দ্বিতীয় যূনক। দাদাঠাকুর!

দাদাঠাকুর। কী চাই রে?

তৃতীয় যূনক। কিছু চাই নে —একবার তোমাকে ডেকে নিচ্ছি।

পঞ্চক। দাদাঠাকুর!

দাদাঠাকুর। কী ভাই, পঞ্চক যে!

পঞ্চক। ওরা সবাই তোমায় ডাকছে, আমারও কেমন ডাকতে ইচ্ছে হল। যতই ভাবছি ওদের দলে মিশব না ততই আরও