পলাতকা

               জরুরি কোন্‌ কাজের চিঠি ভেবে

          খুলে দিখি বাঁকা লাইন, কাঁচা আখর চলছে উঠে নেবে,

                    নাইকো দাঁড়ি-কমা,

   শেষ লাইনে নাম লেখা তার মনোরমা।

          আর হল না পড়া,

মনে হল কোন্‌ বিধবার ভিক্ষাপত্র মিথ্যা কথায় গড়া,

     চিঠিখানা ছিঁড়ে ফেলে আবার লাগি কাজে।

          এমনি করে কোন্‌ অতলের মাঝে

             হপ্তা তিনেক গেল ডুবে।

               সূর্য ওঠে পশ্চিমে কি পুবে,

     সেই কথাটাই ভুলে গেছি , চলছি এমন চোটে।

এমন সময় ভোটে

                    আমার হল হার,

                শত্রুদলে আসন আমার করলে অধিকার ;

                             তাহার পরে খালি

                                কাগজপত্রে চলল গালাগালি।

 

 

               কাজের মাঝে অনেকটা ফাঁক হঠাৎ পড়ল হাতে,

          সেটা নিয়ে কী করব তাই ভাবছি বসে আরাম - কেদারাতে ;

                   এমন সময় হঠাৎ দখিন-পবনভরে

          ছেঁড়া চিঠির টুকরো এসে পড়ল আমার কোলের ' পরে।

               অন্যমনে হাতে তুলে

এই কথাটা পড়ল চোখে, “ মনুরে কি গেছ এখন ভুলে। ”

মনু? আমার মনোরমা? ছেলেবেলার সেই মনু কি এই।

          অমনি হঠাৎ এক নিমেষেই

              সকল শূন্য ভরে,

হারিয়ে-যাওয়া বসন্ত মোর বন্যা হয়ে ডুবিয়ে দিল মোরে।

     সেই তো আমার অনেক কালের পড়োশিনি,

          পায়ে পায়ে বাজাত মল রিনিঝিনি।

     সেই তো আমার এই জনমের ভোর-গগনের তারা

          অসীম হতে এসেছে পথহারা ;