লেখন

বহ্নি যবে বাঁধা থাকে তরুর মর্মের মাঝখানে

       ফলে ফুলে পল্লবে বিরাজে।

যখন উদ্দাম শিখা লজ্জাহীনা বন্ধন না মানে

       মরে যায় ব্যর্থ ভস্মমাঝে॥                                ১৬৪

 

কানন কুসুম-উপহার দেয় চাঁদে,

সাগর আপন শূন্যতা নিয়ে কাঁদে॥                               ১৬৫

 

লেখনী জানে না কোন্‌ অঙ্গুলি লিখিছে,

লেখে যাহা তাও তার কাছে সবই মিছে॥                        ১৬৬

 

মন্দ যাহা নিন্দা তার রাখ না বটে বাকি,

ভালো যেটুকু মূল্য তার কেন বা দাও ফাঁকি॥                   ১৬৭

 

আকাশ কভু পাতে না ফাঁদ

       কাড়িয়া নিতে চাঁদে,

বিনা বাঁধনে তাই তো চাঁদ,

       নিজেরে নিজে বাঁধে।                                       ১৬৮

 

সমস্ত-আকাশ-ভরা আলোর মহিমা

তৃণের শিশিরমাঝে খোঁজে নিজসীমা॥                           ১৬৯

 

প্রভাত-আলোরে বিদ্রূপ করে ও কি

ক্ষুরের ফলার নিষ্ঠুর ঝকমকি॥                                   ১৭০

 

একা এক শূন্যমাত্র, নাই অবলম্ব —

দুই দেখা দিলে হয় একের আরম্ভ॥                             ১৭১

 

প্রভেদেরে মানো যদি ঐক্য পাবে তবে,

প্রভেদ ভাঙিতে গেলে ভেদবৃদ্ধি হবে॥                           ১৭২

 

মৃত্যুর ধর্মই এক, প্রাণধর্ম নানা —

দেবতা মরিলে হবে ধর্ম একখানা॥                               ১৭৩