নদী
যেন         পেতেছে আঁধার - ফাঁদ।
তাদের      তলে তলে নিরিবিলি
নদী         হেসে চলে খিলিখিলি।
তারে       কে পারে রাখিতে ধরে,
সে যে      ছুটোছুটি যায় সরে।
সে যে       সদা খেলে লুকোচুরি,
তাহার     পায়ে পায়ে বাজে নুড়ি।
পথে        শিলা আছে রাশি রাশি,
তাহা        ঠেলে চলে হাসি হাসি।
পাহাড়      যদি থাকে পথ জুড়ে  
নদী         হেসে যায় বেঁকেচুরে।
সেথায়     বাস করে শিং - তোলা
যত        বুনো ছাগ দাড়ি - ঝোলা।
সেথায়     হরিণ রোঁয়ায় ভরা
তারা       কারেও দেয় না ধরা।
সেথায়      মানুষ নূতনতর,
তাদের      শরীর কঠিন বড়ো।
তাদের      চোখ দুটো নয় সোজা,
তাদের      কথা নাহি যায় বোঝা।
তারা        পাহাড়ের ছেলেমেয়ে
সদাই        কাজ করে গান গেয়ে।
তারা        সারা দিনমান খেটে
আনে       বোঝাভরা কাঠ কেটে।
তারা        চড়িয়া শিখর -’পরে
বনের       হরিণ শিকার করে।
 
নদী          যত আগে আগে চলে
ততই       সাথি জোটে দলে দলে।
তারা        তারি মতো, ঘর হতে
সবাই        বাহির হয়েছে পথে।
পায়ে        ঠুনু ঠুনু বাজে নুড়ি,
যেন         বাজিতেছে মল চুড়ি।