চণ্ডালিকা

  প্রকৃতি।  ওগো মা,  ওই কথাই তো ভালো।
                   মন্ত্র জানিস তুই,
             মন্ত্র প’ড়ে দে তাঁকে তুই এনে॥ স্বরলিপি
        মা।  ওরে সর্বনাশী, কী কথা তুই বলিস–
                   আগুন নিয়ে খেলা!
             শুনে বুক কেঁপে ওঠে  ভয়ে মরি॥ স্বরলিপি
     প্রকৃতি।  আমি ভয় করি নে মা, ভয় করি নে॥
             ভয় করি, মা, পাছে  সাহস যায় নেমে–
             পাছে নিজের আমি মূল্য ভুলি।
             এত বড়ো স্পর্ধা আমার,  একি আশ্চর্য!
             এই আশ্চর্য সে’ই ঘটিয়েছে।
                    তারো বেশি ঘটবে না কি–
             আসবে না আমার পাশে,
                    বসবে না আধো-আঁচলে?। স্বরলিপি
        মা।  তাঁকে আনতে যদি পারি
                 মূল্য দিতে পারবি কি তুই তার।
             জীবনে কিছুই যে তোর  থাকবে না বাকি॥ স্বরলিপি
     প্রকৃতি।  না, কিছুই থাকবে না, কিছুই থাকবে না,
                    কিছুই না, কিছুই না।
             যদি আমার সব মিটে যায়, সব মিটে যায়,
             তবেই আমি বেঁচে যাব যে চিরদিনের তরে
                    যখন কিছুই থাকবে না।
             দেবার আমার আছে কিছু এই কথাটাই যে
                    ভুলিয়ে রেখেছিল সবাই মিলে–
             আজ জেনেছি, আমি নই যে অভাগিনী;
                    দেবই আমি, দেবই আমি, দেবই
                        উজাড় করে দেব আমারে। স্বরলিপি
             কোনো ভয় আর নেই আমার।
                    পড়্ তোর মন্তর, পড়্ তোর মন্তর,
             ভিক্ষুরে নিয়ে আয় অমানিতার পাশে,
                        সে’ই তারে দিবে সম্মান–
                    এত মান আর কেউ দিতে কি পারে॥ স্বরলিপি