ভূমিকা

     প্রভাতের আদিম অভাস অরুণবর্ণ আভার আবরণে।
               অর্ধসুপ্ত চক্ষুর ’পরে লাগে তারই প্রথম প্রেরণা।
         অবশেষে রক্তিম আবরণ ভেদ ক’রে সে আপন নিরঞ্জন শুভ্রতায়
               সমুজ্জ্বল হয় জাগ্রত জগতে।


     তেমনি সত্যের প্রথম উপক্রম সাজসজ্জার বহিরঙ্গে,
                       বর্ণবৈচিত্র্যে–
         তারই আকর্ষণ অসংস্কৃত চিত্তকে করে অভিভূত।
               একদা উন্মুক্ত হয় সেই বহিরাচ্ছাদন,
            তখনই প্রবুদ্ধ মনের কাছে তার পুর্ণ বিকাশ।


     এই তত্ত্বটি চিত্রাঙ্গদা নাট্যের মর্মকথা।
            এই নাট্যকাহিনীতে আছে–
                  প্রথমে প্রেমের বন্ধন মোহাবেশে,
              পরে তার মুক্তি সেই কুহক হতে
                  সহজ সত্যের নিরলংকৃত মহিমায়॥