ক্ষণিকা

ঢেকেছে আমারে তোমার ছায়ায়

সঘন সজল বিশাল মায়ায়,

আকুল করেছ শ্যাম সমারোহে

          হৃদয়সাগর - উপকূল

          চরণে জড়ায়ে বনফুল।

 

ফাল্গুনে আমি ফুলবনে বসে

          গেঁথেছিনু যত ফুলহার

          সে নহে তোমার উপহার।

যেথা চলিয়াছ সেথা পিছে পিছে

স্তবগান তব আপনি ধ্বনিছে,

বাজাতে শেখে নি সে গানের সুর

          এ ছোটো বীণার ক্ষীণ তার—

          এ নহে তোমার উপহার।

 

কে জানিত সেই ক্ষণিকা মুরতি

           দূরে করি দিবে বরষন,

          মিলাবে চপল দরশন?

কে জানিত মোরে এত দিবে লাজ?

তোমার যোগ্য করি নাই সাজ,

বাসর - ঘরের দুয়ারে করালে

          পূজার অর্ঘ্য - বিরচন—

          একি রূপে দিলে দরশন।

 

 

ক্ষমা করো তবে ক্ষমা করো মোর

          আয়োজনহীন পরমাদ,

           ক্ষমা করো যত অপরাধ।

এই ক্ষণিকের পাতার কুটিরে                

প্রদীপ - আলোকে এসো ধীরে ধীরে,

এই বেতসের বাঁশিতে পড়ুক

          তব নয়নের পরসাদ—