মহারানী এসেছেন বন্দী ক'রে লয়ে
যুধাজিৎ-জয়সেনে! এ কি স্বপ্ন নাকি!
এ কি রণক্ষেত্র নয়? এ কি অন্তঃপুর?
এতদিন ছিলাম কি যুদ্ধের স্বপনে
মগ্ন? সহসা জাগিয়া আজ দেখিব কি
সেই ফুলবন, সেই মহারানী, সেই
পুষ্পশয্যা, সেই সুদীর্ঘ অলস দিন,
দীর্ঘনিশি বিজড়িত ঘুমে জাগরণে?
বন্দী? কারে বন্দী? কী শুনিতে কী শুনেছি?
এসেছে কি আমারে করিতে বন্দী? দূত!
সেনাপতি! কে এসেছে? কারে বন্দী লয়ে?
সেনাপতি। মহারানী এসেছেন লয়ে কাশ্মীরের
সৈন্যদল — সোদর কুমারসেন-সাথে।
এসেছেন পথ হতে যুদ্ধে বন্দী করে
পলাতক যুধাজিৎ আর জয়সেনে।
আছেন শিবিরদ্বারে, সাক্ষাতের তরে
অভিলাষী।
বিক্রমদেব। সেনাপতি, পালাও, পালাও।
চলো, চলো সৈন্য লয়ে — আর কি কোথাও
নাই শত্রু, আর কেহ নাই কি বিদ্রোহী।
সাক্ষাৎ? কাহার সাথে? রমণীর সনে
সাক্ষাতের এ নহে সময়।
সেনাপতি। মহারাজ —
বিক্রমদেব। চুপ করো সেনাপতি, শোনো যাহা বলি।
রুদ্ধ করো দ্বার — এ শিবিরে শিবিকার
প্রবেশ নিষেধ।
সেনাপতি। যে আদেশ মহারাজ!