আড়াল করিয়া চাহে সে রাখিতে মোরে
নিরাপদে। অতি বৃদ্ধ ক্ষীণ জীর্ণ দেহ,
কেমনে সে সহিছে যন্ত্রণা? আমি হেথা
সুখে আছি লুকায়ে বসিয়া!
সুমিত্রা। আমি যাই,
ভাই! ভিখারিনীবেশে সিংহাসনতলে
গিয়া শংকরের প্রাণভিক্ষা মেগে আসি।
কুমারসেন। বাহির হইতে তারা আবার তোমারে
দিবে ফিরাইয়া। তোমার পিতার রাজ্য
হবে নতশির। বজ্রসম বাজিবে সে
মর্মে গিয়ে মোর।
চর। গত রাত্রে গিধ্কূট
জ্বালায়ে দিয়েছে জয়সেন। গৃহহীন
গ্রামবাসীগণ আশ্রয় নিয়েছে গিয়ে
মন্দুর অরণ্য-মাঝে।
কুমারসেন। আর তো সহে না।
ঘৃণা হয় এ জীবন করিতে বহন
সহস্রের জীবন করিয়া ক্ষয়।
সুমিত্রা। চলো
মোরা দুই জনে যাই রাজসভা-মাঝে
দেখিব কেমনে, কোন্ ছলে, জালন্ধর
স্পর্শ করে কেশ তব।
কুমারসেন। শংকর বলিত,
‘প্রাণ যায় সেও ভালো, তবু বন্দীভাবে
কখনো দিয়ো না ধরা। ' পিতৃসিংহাসনে
বসি বিদেশের রাজা দণ্ড দিবে মোরে
বিচারের ছল করি, এ কি সহ্য হবে?
অনেক সহেছি বোন, পিতৃপুরুষের
অপমান সহিব কেমনে।