পূর্বগগনভাগে
দীপ্ত হইল সুপ্রভাত
তরুণারুণরাগে।
শুভ্র শুভ মুহূর্ত আজি
সার্থক কর’ রে,
অমৃতে তর’ রে,
অমিতপুণ্যভাগী কে
জাগে, কে জাগে।
কে আছ? ভিক্ষা চাই, ভগবান বুদ্ধের নামে ভিক্ষা আমার।
শুভম্ভবতু কল্যাণম্। বৎসে, তুমি কে?
নটী। আমি এই রাজবাড়ির নটী।
উপালি। এই পুরীতে আজ একা কেবল তুমিই জেগে?
নটী। রাজকন্যারা সকলেই ঘুমিয়ে আছেন।
উপালি। ভগবান বুদ্ধের নামে ভিক্ষা চাই।
নটী। প্রভু, অনুমতি করুন, রাজকন্যাদের ডেকে আনি।
উপালি। আজ তোমারই কাছে ভিক্ষা জানাতে এসেছি।
নটী। আমি যে অভাগী। প্রভুর ভিক্ষাপাত্রে আমার দান কুণ্ঠিত হবে। কী দেব অনুমতি করুন।
উপালি। তোমার যা শ্রেষ্ঠ দান।
নটী। আমার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কী সে তো আমি জানিনে।
উপালি। না, ভগবান তোমাকে দয়া করেছেন, তিনি জানেন।
নটী। প্রভু, তাহলে তিনি স্বয়ং তুলে নিন যা আছে আমার।
উপালি। তাই নেবেন, তোমার পূজার ফুল। ঋতুরাজ বসন্ত যেমন করে পুষ্পবনের আত্মদানকে আপনিই জাগিয়ে তোলেন। তোমার সেইদিন এসেছে আমি তোমাকে জানিয়ে গেলুম। তুমি ভাগ্যবতী।
নটী। আমি অপেক্ষা করে থাকব।
[ প্রস্থান