বেরিয়ে পড়ে নেচে-কুঁদে।
সন্ধ্যা তারে প্রণাম করে
সব সোনা তার দেয় রে শুধে।
ফোটা ফুলের আনন্দ রে
ঝরা ফুলেই ফলে ধরে,
আপনাকে ভাই ফুরিয়ে দেওয়া
চুকিয়ে দে তুই বেলাবেলি॥
ওহে বাউল, চন্দ্রহাস এখনো এল না কেন।
বাউল। সে যে গেছে, তা জানো না?
গেছে? কোথায় গেছে।
বাউল। সে বললে, আমি তাকে জয় করে আনব।
কাকে।
বাউল। যাকে সবাই ভয় করে। সে বললে, নইলে আমার কিসের যৌবন।
বাঃ, এ তো বেশ কথা! দাদা গেল পাড়ার লোককে চৌপদী শোনাতে, আর চন্দ্রহাস কোথায় গেল ঠিকানাই নেই!
বাউল। সে বললে, যুগে যুগে মানুষ লড়াই করেছে, আজ বসন্তের হাওয়ায় তারই ঢেউ।
তারই ঢেউ?
বাউল। হাঁ। খবর এসেছে মানুষের লড়াই শেষ হয় নি।
বসন্তের এই কি খবর।
বাউল। যারা ম'রে অমর, বসন্তের কচি পাতায় তারাই পত্র পাঠিয়েছে। দিগ্দিগন্তে তারা রটাচ্ছে- “ আমরা পথের বিচার করি নি — আমরা পাথেয়ের হিসাব রাখি নি — আমরা ছুটে এসেছি, আমরা ফুটে বেরিয়েছি। আমরা যদি ভাবতে বসতুম তা হলে বসন্তের দশা কী হত। ”
চন্দ্রহাস তাই বুঝি খেপে উঠেছে?
বাউল। সে বললে-
বসন্তে ফুল গাঁথল আমার
জয়ের মালা।
বইল প্রাণে দখিন হাওয়া
আগুন-জ্বালা।
পিছের বাঁশি কোণের ঘরে
মিছে রে ওই কেঁদে মরে,
মরণ এবার আনল আমার