দাদা। একটু বুঝিয়ে দিই — অর্থাৎ বাঁশে যদি কেবলমাত্র বাঁশিই বাজত তা হলে —
না, আমরা বুঝব না।
কোনোমতেই বুঝব না।
কার সাধ্য আমাদের বোঝায়।
আমরা কিচ্ছু বুঝব না ব'লেই আজ বেরিয়ে পড়েছি।
আজ কেউ যদি আমাদের জোর ক'রে বোঝাতে চায় তা হলে আমরা জোর ক'রে ভুল বুঝব।
দাদা। ও শ্লোকটার অর্থ হচ্ছে এই যে, বিশ্বের হিত যদি না করি তবে —
তবে? তবে বিশ্ব হাঁপ ছেড়ে বাঁচে।
দাদা। ঐ কথাটাকেই আর-একটু স্পষ্ট করে বলেছি —
অসংখ্য নক্ষত্র জ্বলে সশঙ্ক নিশীথে।
অম্বরে লম্বিত তারা লাগে কার হিতে।
শূন্যে কোন্ পুণ্য আছে আলোক বাঁটিতে।
মর্তে এলে কর্মে লাগে মাটিতে হাঁটিতে।
ওহে, তবে আমাদের কথাটাকেও আর-একটু পষ্ট ক'রে বলতে হল দেখছি।
ধরো, দাদাকে ধরো — ওকে আড়কোলা ক'রে নিয়ে চলো ওর কোটরে।
দাদা। তোরা অত ব্যস্ত হচ্ছিস কেন বল্ তো। বিশেষ কাজ আছে?
বিশেষ কাজ।
অত্যন্ত জরুরি।
দাদা। কাজটা কী শুনি।
বসন্তের ছুটিতে আমাদের খেলাটা কী হবে তাই খুঁজে বের করতে বেরিয়েছি।
দাদা। খেলা? দিনরাতই খেলা?
গান
সকলে। মোদের যেমন খেলা তেমনি যে কাজ
জানিস নে কি ভাই।
তাই কাজকে কভু আমরা না ডরাই।
খেলা মোদের লড়াই করা,
খেলা মোদের বাঁচা মরা,
খেলা ছাড়া কিছুই কোথাও নাই।
ঐ যে আমাদের সর্দার আসছে ভাই।
আমাদের সর্দার!
সর্দার। কী রে, ভারি গোল বাধিয়েছিস যে।
চন্দ্রহাস। তাই বুঝি থাকতে পারলে না?