পিতা। কী কথা?
তিনকড়ি। আজ্ঞে, কিছুই নয়। আমি ভুতূবাবুকে আনা-দুয়েকের সন্দেশ কিনে খাইয়েছি। সামান্য কথা। সে কি আর বলবার বিষয়?
পিতা। ( পরম সন্তোষে) তোমার নাম কী বাপু?
তিনকড়ি। ( সবিনয়ে) আজ্ঞে, আমার নাম তিনকড়ি মুখোপাধ্যায়।
পিতা। ঠাকুরের নাম?
তিনকড়ি। খুদিরাম মুখোপাধ্যায়।
পিতা। তুমি আমার পরমাত্মীয়। খুদিরাম যে আমার পিসতুতো ভাই হয়।
তিনকড়ির ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম
পিতা। চলো বাবা, বাড়ির ভিতর চলো। জলখাবার খাবে। আজ পৌষপার্বণ, পিঠে না খাইয়ে ছাড়ব না।
তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।
পিতা। আজ রাত্রে এখানে থাকবে। কাল মধ্যাহ্নভোজন করে বাড়ি যেয়ো।
তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।
তিনকড়ি। ( স্বগত ) ডান হাতের ব্যাপারটা আজ বেশ চলছে ভালো।
ভুতুর মা। ( পাতে চারটে পিঠে দিয়া) বাবা, চুপ করে বসে থাকলে হবে না, এ চারখানাও খেতে হবে।
তিনকড়ি। যে আজ্ঞে। ( আহার)
ভুতুর বাপের প্রবেশ
পিতা। ওকি ও! পাত খালি যে! ওরে, খান-আষ্টেক পিঠে দিয়ে যা।
পিঠে-দেওন
বাবা, খেতে হবে। এরই মধ্যে হাত গুটোলে চলবে না।
তিনকড়ি। যে আজ্ঞে। ( আহার )
পিসিমার প্রবেশ
পিসিমা। ( ভুতুর মা'র প্রতি) ও বউ, তিনকড়ির পাত খালি যে! হাঁ করে দাঁড়িয়ে দেখছ কী? ওকে খান-দশেক পিঠে দাও। লজ্জা কোরো না বাবা, ভালো করে খাও।
তিনকড়ি। যে আজ্ঞে।
পিসেমহাশয়ের প্রবেশ
পিসেমহাশয়। বাপু, তোমার খাওয়া হল না দেখছি। দিয়ে যা, দিয়ে যা, এ দিকে দিয়ে যা। পাতে খান-পনেরো পিঠে দে।