![](/themes/rabindra/logo.png)
তৃতীয় শোণপাংশু। আগে ওদের দেশের প্রাচীর পঁয়ত্রিশ হাত উঁচু ছিল, এবার আশি হাত উঁচু করবার জন্যে লোক লাগিয়ে দিয়েছে, পাছে পৃথিবীর সব লোক লাফ দিয়ে গিয়ে হঠাৎ স্থবিরক হয়ে ওঠে।
চতুর্থ শোণপাংশু। আমাদের দেশ থেকে দশজন শোণপাংশু ধরে নিয়ে গেছে, হয়তো ওদের কালঝন্টি দেবীর কাছে বলি দেবে।
দাদাঠাকুর। চলো তবে।
প্রথম শোণপাংশু। কোথায়।
দাদাঠাকুর। স্থবিরপত্তনে।
দ্বিতীয় শোণপাংশু। এখনই?
দাদাঠাকুর। হাঁ, এখনই।
সকলে। ওরে, চল্ রে চল্।
দাদাঠাকুর। আমাদের রাজার আদেশ আছে—ওদের পাপ যখন প্রাচীরের আকার ধরে আকাশের জ্যোতি আচ্ছন্ন করতে উঠবে তখন সেই প্রাচীর ধুলোয় লুটিয়ে দিতে হবে।
প্রথম শোণপাংশু। দেব ধুলোয় লুটিয়ে।
সকলে। দেব লুটিয়ে।
দাদাঠাকুর। ওদের সেই ভাঙা প্রাচীরের উপর দিয়ে রাজপথ তৈরি করে দেব।
সকলে। হাঁ, রাজপথ তৈরি করে দেব।
দাদাঠাকুর। আমাদের রাজার বিজয়রথ তার উপর দিয়ে চলবে।
সকলে। হাঁ, চলবে। চলবে।
পঞ্চক। দাদাঠাকুর, এ কী ব্যাপার!
দাদাঠাকুর। এই আমাদের বনভোজন।
প্রথম শোণপাংশু। চলো পঞ্চক, তুমি চলো।
দাদাঠাকুর। না না, পঞ্চক না। যাও ভাই, তুমি তোমার অচলায়তনে ফিরে যাও। যখন সময় হবে দেখা হবে।
পঞ্চক। কী জানি ঠাকুর, যদিও আমি কোনো কর্মেরই না, তবু ইচ্ছে করছে তোমাদের সঙ্গে ছুটে বেরিয়ে পড়ি।
দাদাঠাকুর। না পঞ্চক, তোমার গুরু আসবেন, তুমি অপেক্ষা করো গে।
পঞ্চক। তবে ফিরে যাই। কিন্তু ঠাকুর, যতবার বাইরে এসে তোমার সঙ্গে দেখা হয় ততবার ফিরে গিয়ে অচলায়তনে আমাকে যেন আর ধরে না। হয় ওটাকে বড়ো করে দাও, নয় আমাকে আর বাড়তে দিয়ো না।
দাদাঠাকুর। আয় রে, তবে যাত্রা করি।