Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা - তৃতীয় দৃশ্য, ১৮
নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা
প্রকৃতি। সেই ভালো মা, সেই ভালো।
থাক্ তোর মন্ত্র, থাক্ তোর—
আর কাজ নাই, কাজ নাই,কাজ নাই।
না না না, পড়্ মন্ত্র তুই, পড়্ তোর মন্ত্র—
পথ তো আর নেই বাকি!
আসবে সে, আসবে সে, আসবে,
আমার জীবনমৃত্যু-সীমানায় আসবে।
নিবিড় রাত্রে এসে পৌঁছবে পান্থ,
বুকের জ্বালা দিয়ে আমি
জ্বালিয়ে দিব দীপখানি—
সে আসবে।
—
দুঃখ দিয়ে মেটাব দুঃখ তোমার।
স্নান করাব অতল জলে
বিপুল বেদনার।
মোর সংসার দিব যে জ্বালি,
শোধন হবে এ মোহের কালি—
মরণব্যথা দিব তোমার
চরণে উপহার।
আর কাজ নাই, কাজ নাই,কাজ নাই।
না না না, পড়্ মন্ত্র তুই, পড়্ তোর মন্ত্র—
পথ তো আর নেই বাকি!
আসবে সে, আসবে সে, আসবে,
আমার জীবনমৃত্যু-সীমানায় আসবে।
নিবিড় রাত্রে এসে পৌঁছবে পান্থ,
বুকের জ্বালা দিয়ে আমি
জ্বালিয়ে দিব দীপখানি—
সে আসবে।
—
দুঃখ দিয়ে মেটাব দুঃখ তোমার।
স্নান করাব অতল জলে
বিপুল বেদনার।
মোর সংসার দিব যে জ্বালি,
শোধন হবে এ মোহের কালি—
মরণব্যথা দিব তোমার
চরণে উপহার।
মা। বাছা, মোর মন্ত্র আর তো বাকি নেই,
প্রাণ মোর এল কণ্ঠে।
প্রকৃতি। মা গো, এতদিনে মনে হচ্ছে যেন
টলেছে আসন তাঁহার।
ওই আসছে, আসছে, আসছে।
যা বহু দূরে, যা লক্ষ যোজন দূরে,
যা চন্দ্রসূর্য পেরিয়ে,
ওই আসছে, আসছে, আসছে—
কাঁপছে আমার বক্ষ ভূমিকম্পে।
ওই আসছে, আসছে, আসছে।
যা বহু দূরে, যা লক্ষ যোজন দূরে,
যা চন্দ্রসূর্য পেরিয়ে,
ওই আসছে, আসছে, আসছে—
কাঁপছে আমার বক্ষ ভূমিকম্পে।
মা। বল্ দেখি বাছা, কী তুই দেখছিস আয়নায়।
প্রকৃতি। ঘন কালো মেঘ তাঁর পিছনে,
প্রকৃতি। ঘন কালো মেঘ তাঁর পিছনে,
চারি দিকে বিদ্যুৎ চমকে।
অঙ্গ ঘিরে ঘিরে তাঁর
অঙ্গ ঘিরে ঘিরে তাঁর