Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা - প্রথম দৃশ্য, ৬
নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা
যাহা তৃপ্ত করে তৃষিতেরে,
যাহা তাপিত শ্রান্তেরে স্নিগ্ধ করে
সেই তো পবিত্র বারি।
জল দাও আমায় জল দাও।
যাহা তাপিত শ্রান্তেরে স্নিগ্ধ করে
সেই তো পবিত্র বারি।
জল দাও আমায় জল দাও।
জল দান
কল্যাণ হোক তব, কল্যাণী।
[ প্রস্থান
প্রকৃতি। শুধু একটি গণ্ডূষ জল,
আহা নিলেন তাঁহার করপুটের কমলকলিকায়।
আমার কূপ যে হল অকূল সমুদ্র—
এই যে নাচে এই যে নাচে তরঙ্গ তাহার,
আমার জীবন জুড়ে নাচে—
টলোমলো করে আমার প্রাণ,
আমার জীবন জুড়ে নাচে।
ওগো কী আনন্দ, কী আনন্দ, কী পরম মুক্তি!
একটি গণ্ডূষ জল—
শুধু একটি গণ্ডূষ জল॥
আমার কূপ যে হল অকূল সমুদ্র—
এই যে নাচে এই যে নাচে তরঙ্গ তাহার,
আমার জীবন জুড়ে নাচে—
টলোমলো করে আমার প্রাণ,
আমার জীবন জুড়ে নাচে।
ওগো কী আনন্দ, কী আনন্দ, কী পরম মুক্তি!
একটি গণ্ডূষ জল—
শুধু একটি গণ্ডূষ জল॥
মেয়ে পুরুষের প্রবেশ
ফসল কাটার আহ্বান
ফসল কাটার আহ্বান
মাটি তোদের ডাক দিয়েছে আয় রে চলে,
আয় আয় আয়।
ডালা যে তার ভরেছে আজ পাকা ফসলে—
মরি হায় হায় হায়।
হাওয়ার নেশায় উঠল মেতে,
দিগ্বধূরা ফসলখেতে,
রোদের সোনা ছড়িয়ে পড়ে ধরার আঁচলে—
মরি হায় হায় হায়।
মাঠের বাঁশি শুনে শুনে আকাশ খুশি হল।
ঘরেতে আজ কে রবে গো, খোলো দুয়ার খোলো।
আয় আয় আয়।
ডালা যে তার ভরেছে আজ পাকা ফসলে—
মরি হায় হায় হায়।
হাওয়ার নেশায় উঠল মেতে,
দিগ্বধূরা ফসলখেতে,
রোদের সোনা ছড়িয়ে পড়ে ধরার আঁচলে—
মরি হায় হায় হায়।
মাঠের বাঁশি শুনে শুনে আকাশ খুশি হল।
ঘরেতে আজ কে রবে গো, খোলো দুয়ার খোলো।