Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
কঙ্কাল- ৬
কঙ্কাল
থাকে। ইচ্ছা ছিল যখন আমার অনন্তরাত্রির বাসর-ঘরে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিব তখন এই হাসিটুকু এখান হইতেই মুখে করিয়া লইয়া যাইব। কোথায় বাসর-ঘর। আমার সে বিবাহের বেশ কোথায়। নিজের ভিতর হইতে একটা খট্খট্ শব্দে জাগিয়া দেখিলাম, আমাকে লইয়া তিনটি বালক অস্থিবিদ্যা শিখিতেছে। বুকের যেখানে সুখদুঃখ ধুক্ধুক্ করিত এবং যৌবনের পাপড়ি প্রতিদিন একটি একটি করিয়া প্রস্ফুটিত হইত সেইখানে বেত্র নির্দেশ করিয়া কোন্ অস্থির কী নাম মাস্টার শিখাইতেছে। আর, সেই যে অন্তিম হাসিটুকু ওষ্ঠের কাছে ফুটাইয়া তুলিয়াছিলাম তাহার কোনো চিহ্ন দেখিতে পাইয়াছিলে কি। ”
“ গল্পটা কেমন লাগিল। ”
আমি বলিলাম, “ গল্পটি বেশ প্রফুল্লকর। ”
এমন সময় প্রথম কাক ডাকিল। জিজ্ঞাসা করিলাম, “ এখনো আছ কি। ” কোনো উত্তর পাইলাম না।
ঘরের মধ্যে ভোরের আলো প্রবেশ করিল।