Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
গান - পরিশিষ্ট ১ - ১৭
পরিশিষ্ট ১
হায় গো দরদী কেহ থাক যদি, শিরে
দাও পরশন।
এ কি স্রোতে যাবে ভেসে দূরদয়াহীন দেশে—
জানি নে, কে জানে দিন-অবসানে কোন্খানে পাবে কূলৼ
শান্তা। ছি ছি,মরি লাজে।
কে সাজালো মোরে মিছে সাজে।
বিধাতার নিষ্ঠুর বিদ্রূপে নিয়ে এল চুপে চুপে
মোরে তোমাদের দুজনের মাঝে।
আমি নাই, আমি নাই—
আদরিণী,লহো তব ঠাঁই যেথা তব আসন বিরাজেৼ
শান্তা ও স্ত্রীগণ। শুভমিলনলগনে বাজুক বাঁশি,
মেঘমুক্ত গগনে জাগুক হাসি।
পুরুষগণ। কত দুখে কত দূরে দূরে আঁধারসাগর ঘুরে ঘুরে
সোনার তরী তীরে এল ভাসি।
ওগো পুরবালা,আনো সাজিয়ে বরণডালা।
যুগলমিলনমহোৎসবে শুভ শঙ্খরবে
বসন্তের আনন্দ দাও উচ্ছ্বাসিৼ
প্রমদা। আর নহে, আর নহে।
বসন্তবাতাস কেন আর শুষ্ক ফুলে বহে।
লগ্ন গেল বয়ে, সকল আশা লয়ে—
এ কোন্ প্রদীপ জ্বালো! এ-যে বক্ষ আমার দহে।
আমার কানন মরু হল—
আজ এই সন্ধ্যা-অন্ধকারে সেথায় কী ফুল তোলো।
কাহার ভাগ্য হতে বরণমালা হরণ করো—
ভাঙা ডালি ভরো।
মিলনমালার কন্টকভার কন্ঠে কি আর সহেৼ
অমর। ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে ওরে পাখি,
যা উড়ে,যা উড়ে,যা রে একাকী।
বাজবে তোর পায়ে সেই বন্ধ,পাখাতে পাবি আনন্দ—
দিশাহারা মেঘ যে গেল ডাকি।
নির্মল দুঃখে যে সেই তো মুক্তি নির্মল শূন্যের প্রেমে।
আত্মবিড়ম্বন দারুন লজ্জা, নিঃশেষে যাক সে থেমে।
দুরাশার মরাবাঁচায় এতদিন ছিলি তোর খাঁচায়—
এ কি স্রোতে যাবে ভেসে দূরদয়াহীন দেশে—
জানি নে, কে জানে দিন-অবসানে কোন্খানে পাবে কূলৼ
শান্তা। ছি ছি,মরি লাজে।
কে সাজালো মোরে মিছে সাজে।
বিধাতার নিষ্ঠুর বিদ্রূপে নিয়ে এল চুপে চুপে
মোরে তোমাদের দুজনের মাঝে।
আমি নাই, আমি নাই—
আদরিণী,লহো তব ঠাঁই যেথা তব আসন বিরাজেৼ
শান্তা ও স্ত্রীগণ। শুভমিলনলগনে বাজুক বাঁশি,
মেঘমুক্ত গগনে জাগুক হাসি।
পুরুষগণ। কত দুখে কত দূরে দূরে আঁধারসাগর ঘুরে ঘুরে
সোনার তরী তীরে এল ভাসি।
ওগো পুরবালা,আনো সাজিয়ে বরণডালা।
যুগলমিলনমহোৎসবে শুভ শঙ্খরবে
বসন্তের আনন্দ দাও উচ্ছ্বাসিৼ
প্রমদা। আর নহে, আর নহে।
বসন্তবাতাস কেন আর শুষ্ক ফুলে বহে।
লগ্ন গেল বয়ে, সকল আশা লয়ে—
এ কোন্ প্রদীপ জ্বালো! এ-যে বক্ষ আমার দহে।
আমার কানন মরু হল—
আজ এই সন্ধ্যা-অন্ধকারে সেথায় কী ফুল তোলো।
কাহার ভাগ্য হতে বরণমালা হরণ করো—
ভাঙা ডালি ভরো।
মিলনমালার কন্টকভার কন্ঠে কি আর সহেৼ
অমর। ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে ওরে পাখি,
যা উড়ে,যা উড়ে,যা রে একাকী।
বাজবে তোর পায়ে সেই বন্ধ,পাখাতে পাবি আনন্দ—
দিশাহারা মেঘ যে গেল ডাকি।
নির্মল দুঃখে যে সেই তো মুক্তি নির্মল শূন্যের প্রেমে।
আত্মবিড়ম্বন দারুন লজ্জা, নিঃশেষে যাক সে থেমে।
দুরাশার মরাবাঁচায় এতদিন ছিলি তোর খাঁচায়—