Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
শৈশবসঙ্গীত - অপ্সরাপ্রেম -১৪
শৈশবসঙ্গীত
চুমিছে রজত বালুকারাশি,
দেখ হেথা চেয়ে চপল চরণে
চলেছে নিঝরধারা।
তীরে তীরে তার রাশি রাশি ফুল,
হাসি হাসি তারা হতেছে আকুল,
লহরে লহরে ঢলিয়া ঢলিয়া
খেলায়ে খেলায়ে হতেছে সারা।
হ’ল না গো হ’ল না,
প্রেম সাধ বুঝি পূরিল না।
তবে শুনিবে কি সখা গান?
তবে খুলিয়া দিব কি প্রাণ?
তবে চাঁদের হাসিতে নীরব নিশীথে
মিশাব ললিততান?
আমি গাব হৃদয়ের গান।
আমি গাব প্রণয়ের গান।
কভু হাসি কভু সজল নয়ন,
কভু বা বিরহ কভু বা মিলন,
কভু সোহাগেতে ঢল ঢল তনু
কভু মধু অভিমান।
কভু বা হৃদয় যেতেছে ফেটে,
সরমে তবুও কথা না ফুটে,
কভু বা পাষাণে বাধিয়া মরম
ফাটিয়া যেতেছে প্রাণ!
হ’ল না গো হ’ল না,
মনোসাধ আর পূরিল না।
এস তবে এস মায়ার বাঁধন
খুলে দিই ধীরে ধীরে
যেথা সাধ যাও, আমি একাকিনী
ব’সে থাকি সিন্ধুতীরে।
দেখ হেথা চেয়ে চপল চরণে
চলেছে নিঝরধারা।
তীরে তীরে তার রাশি রাশি ফুল,
হাসি হাসি তারা হতেছে আকুল,
লহরে লহরে ঢলিয়া ঢলিয়া
খেলায়ে খেলায়ে হতেছে সারা।
হ’ল না গো হ’ল না,
প্রেম সাধ বুঝি পূরিল না।
তবে শুনিবে কি সখা গান?
তবে খুলিয়া দিব কি প্রাণ?
তবে চাঁদের হাসিতে নীরব নিশীথে
মিশাব ললিততান?
আমি গাব হৃদয়ের গান।
আমি গাব প্রণয়ের গান।
কভু হাসি কভু সজল নয়ন,
কভু বা বিরহ কভু বা মিলন,
কভু সোহাগেতে ঢল ঢল তনু
কভু মধু অভিমান।
কভু বা হৃদয় যেতেছে ফেটে,
সরমে তবুও কথা না ফুটে,
কভু বা পাষাণে বাধিয়া মরম
ফাটিয়া যেতেছে প্রাণ!
হ’ল না গো হ’ল না,
মনোসাধ আর পূরিল না।
এস তবে এস মায়ার বাঁধন
খুলে দিই ধীরে ধীরে
যেথা সাধ যাও, আমি একাকিনী
ব’সে থাকি সিন্ধুতীরে।