Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
শৈশবসঙ্গীত - লীলা -৪
শৈশবসঙ্গীত
শত বীরহৃদি উঠিল নাচিয়া,
বাহিরিল শত অসি—
শত শত শর মিটাইল তৃষা
বীরের হৃদয়ে পশি।
আঁধার ক্রমশঃ নিবিড় হইল,
বাধিল বিষম রণ—
লীলার শিবিকা কাড়িয়া লইয়া
পলাইল দস্যুগণ।
* * *
কারাগারমাঝে বসিয়া রমণী
বরষিছে আঁখিজল।
বাহির হইতে উঠিছে গগনে
সমরের কোলাহল।
“হে মা ভগবতী, শুন এ মিনতি—
বিপদে ডাকিব কারে!
পতি ব’লে যাঁরে করেছি বরণ
বাঁচাও বাঁচাও তাঁরে!
মোর তরে কেন এ শোণিতপাত!
আমি, মা, অবোধ বালা,
জনমিয়া আমি মরিনু না কেন—
ঘুচিত সকল জ্বালা!”
কহিতে কহিতে উঠিল আকাশে
দ্বিগুণ সমরধ্বনি—
জয়জয়রব, আহতের স্বর,
কৃপাণের ঝনঝনি!
সাঁজের জলদে ডুবে গেল রবি,
আকাশে উঠিল তারা—
একেলা বসিয়া বালিকা সে লীলা
বাহিরিল শত অসি—
শত শত শর মিটাইল তৃষা
বীরের হৃদয়ে পশি।
আঁধার ক্রমশঃ নিবিড় হইল,
বাধিল বিষম রণ—
লীলার শিবিকা কাড়িয়া লইয়া
পলাইল দস্যুগণ।
* * *
কারাগারমাঝে বসিয়া রমণী
বরষিছে আঁখিজল।
বাহির হইতে উঠিছে গগনে
সমরের কোলাহল।
“হে মা ভগবতী, শুন এ মিনতি—
বিপদে ডাকিব কারে!
পতি ব’লে যাঁরে করেছি বরণ
বাঁচাও বাঁচাও তাঁরে!
মোর তরে কেন এ শোণিতপাত!
আমি, মা, অবোধ বালা,
জনমিয়া আমি মরিনু না কেন—
ঘুচিত সকল জ্বালা!”
কহিতে কহিতে উঠিল আকাশে
দ্বিগুণ সমরধ্বনি—
জয়জয়রব, আহতের স্বর,
কৃপাণের ঝনঝনি!
সাঁজের জলদে ডুবে গেল রবি,
আকাশে উঠিল তারা—
একেলা বসিয়া বালিকা সে লীলা