
অতএব, বাঙ্গালা ভাব ও ভাবের ভাষা যতই সংগ্রহ করা যাইবে ততই যে আমাদের সাহিত্যের উপকার হইবে তাহাতে আর সন্দেহ নাই। এই নিমিত্তই সঙ্গীত-সংগ্রহের প্রকাশক বঙ্গসাহিত্যানুরাগী সকলেরই বিশেষ কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন।
Universal Love প্রভৃতি বড় বড় কথা বিদেশীদের মুখ হইতে বড়ই ভাল শুনায়, কিন্তু ভিখারীরা আমাদের দ্বারে দ্বারে সেই কথা গাহিয়া বেড়াইতেছে, আমাদের কানে পৌঁছায় না কেন? –
আয় রে আয়, জগাই মাধাই আয়!
হরিসঙ্কীর্ত্তনে নাচিবি যদি আয়।
ওরে মার খেয়েচি, নাহয় আরো খাব –
ওরে তবু হরির নামটি দিব আয়!
ওরে মেরেছে কলসীর কানা,
তাই বলে কি প্রেম দিব না – আয়!
সে প্রেম করতে গেলে মরতে হয়।
আত্মসুখীর মিছে সে প্রেমের আশয়।
যার আমি মরেছে, তার সাধন হয়েছে।
কোটি জন্মের পুণ্যের ফল তার উদয় হয়েছে।)
যে প্রাণ করে পণ পরে প্রেমরতন
তার থাকে না যমের ভয়।
লোভী লোভে গণিবে প্রমাদ,
একের জন্য কি হয় আরের মরিতে সাধ।
যার যে ধর্ম্ম সেই পাবে সেই কর্ম্ম।
প্রেমের মর্ম্ম কি অপ্রেমিকে পায়?
ভাবের আজগবি কল গৌরচাঁদের ঘরে
সে যে অনন্ত ব্রক্ষ্মাণ্ডের খবর, আন্ছে একতারে
গো সখি, প্রেম-তারে।