নবীন পল্লব দিয়া রচি পক্ষগুলি
ভ্রমর - অক্ষরে লিখি মদনের নাম
নবচূতবাণচয় নির্মিল বসন্ত॥ ২৭
মনোহরবর্ণময় কর্ণিকার ফুল
ফুটিল, নাইক তাহে সুবাসের লেশ।
বিধাতা সকল গুণ দেন কি সবারে॥ ২৮
মর্মর শব দ করি জীর্ণ পত্রগুলি
ফেলে ধীরে বনস্থলী বায়ুর পরশে,
মদোদ্ধত হরিণেরা করে বিচরণ
পিয়ালমঞ্জরী হতে রেণু ঝরি ঝরি
যাদের বিশাল আঁখি হয়েছে আকুল॥ ৩১
যখন মদন বসি বনশ্রীর কোলে
পুষ্পশরে গুণ তার করিল বন্ধন
স্নেহরসে মগ্ন হল যত ছিল প্রাণী॥ ৩৫
একই কুসুমপাত্রে ভ্রমর প্রিয়ার
পীত - অবশেষ মধু করিল গো পান।
স্পর্শনিমীলিতচক্ষু মৃগীর শরীরে
কৃষ্ণসার শৃঙ্গ দিয়া করিল আদর॥ ৩৬
আধেক মৃণাল খেয়ে সুখে চক্রবাক
আধেক তুলিয়া দিল প্রিয়ার মুখেতে॥ ৩৭
পুষ্পমদ পান করি ঢলঢল আঁখি
কিম্পুরুষললনারা গাইতেছে গান,
প্রিয়তম তাহাদের হইয়া বিহ্বল
থেকে থেকে প্রিয়ামুখ করিছে চুম্বন॥ ৩৮
কুসুমস্তবকগুলি স্তন যাহাদের