ঘন অন্ধকার রাত,
বাদলের হাওয়া
এলোমেলো ঝাপট দিচ্ছে চার দিকে।
মেঘ ডাকছে গুরুগুরু,
থরথর করছে দরজা,
খড়খড় করে উঠছে জানালাগুলো।
বাইরে চেয়ে দেখি
সারবাঁধা সুপুরি - নারকেলের গাছ
অস্থির হয়ে দিচ্ছে মাথা - ঝাঁকানি।
দুলে উঠছে কাঁঠাল গাছের ঘন ডালে
অন্ধকারের পিণ্ডগুলো
দল - পাকানো প্রেতের মতো।
রাস্তার থেকে পড়েছে আলোর রেখা
পুকুরের কোণে
সাপ - খেলানো আঁকাবাঁকা।
মনে পড়ছে ওই পদটা—
‘ রজনী শাঙন ঘন, ঘন দেয়া - গরজন—
স্বপন দেখিনু হেনকালে। '
সেদিন রাধিকার ছবির পিছনে
কবির চোখের কাছে
কোন্ একটি মেয়ে ছিল,
ভালোবাসার - কুঁড়ি - ধরা তার মন।
মুখচোরা সেই মেয়ে,
চোখে কাজল পরা,
ঘাটের থেকে নীলশাড়ি
‘ নিঙাড়ি নিঙাড়ি' চলা।
আজ এই ঝোড়ো রাতে
তাকে মনে আনতে চাই—