চন্দ্র। নির্মলা, আমি কিছু বুঝতে পারছি নে।
নির্মলা। অন্যায়! ভারি অন্যায়! অবলাকান্তবাবু–
অক্ষয়। নির্মলা দেবী ঠিক বলেছেন– অন্যায়!কিন্তু সে বিধাতার অন্যায়। এঁর অবলাকান্ত হওয়াই উচিত ছিল, কিন্তু ভগবান এঁকে বিধবা শৈলবালা করে কী মঙ্গল সাধন করছেন সে রহস্য আমাদের অগোচর।
শৈল। (নির্মলার প্রতি) আমি অন্যায় করেছি, সে অন্যায়ের প্রতিকার আমার দ্বারা কি হবে? আশা করি কালে সমস্ত সংশোধন হয়ে যাবে।
পূর্ণ। (নির্মলার নিকটে আসিয়া) এই অবকাশে আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, চন্দ্রবাবুর পত্রে আমি যে স্পর্ধা প্রকাশ করেছিলুম সে আমার পক্ষে অন্যায় হয়েছিল– আমার মতো অযোগ্য–
চন্দ্র। কিছু অন্যায় হয় নি পূর্ণবাবু, আপনার যোগ্যতা যদি নির্মলা না বুঝতে পারেন তো সে নির্মলারই বিবেচনার অভাব।
রসিক। (পূর্ণের প্রতি জনান্তিকে) ভয় নেই পূর্ণবাবু, আপনার দরখাস্ত মঞ্জুর, প্রজাপতির আদালতে ডিক্রি পেয়েছেন– কাল প্রত্যুষেই জারি করতে বেরোবেন।
শ্রীশ। (শৈলবালার প্রতি) বড়ো ফাঁকি দিয়েছেন।
বিপিন। সম্বন্ধের পূর্বেই পরিহাসটা করে নিয়েছেন।
শৈল। পরে তাই বলে নিষ্কৃতি পাবেন না।
বিপিন। নিষ্কৃতি চাই নে।
রসিক। এইবারে নাটক শেষ হল– এইখানে ভরতবাক্য উচ্চারণ করে দেওয়া যাক।–
সর্বস্তরতু দুর্গাণি সর্বো ভদ্রাণি পশ্যতু।
সর্বঃ কামানবাপ্নোতু সর্বঃ সর্বত্র নন্দতু॥