Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
বাল্মিকীপ্রতিভা (গীতি-নাট্য) -তৃতীয় দৃশ্য, ১০
বাল্মীকিপ্রতিভা
লক্ষ্মীর অন্তর্ধান ও সরস্বতীর পুনরাবির্ভাব
বাহার
বাল্মীকি। এই যে হেরি গো দেবী আমারি!
এবে কবিতাময় জগত চরাচর,
সব শোভাময় নেহারি।
ছন্দে উঠিছে চন্দ্রমা, ছন্দে কনকরবি উদিছে,
ছন্দে জগমণ্ডল চলিছে,
জ্বলন্ত কবিতা তারকা সবে–
এ কবিতার মাঝে তুমি কে গো দেবি
আলোকে আলো আঁধারি!
আজি মলয় আকুল বনে বনে একি এ গীত গাহিছে,
ফুল কহিছে প্রাণের কাহিনী,
নব রাগ রাগিনী উছাসিছে–
এ আনন্দে আজ গীত গাহে মোর হৃদয় সব অবারি!
তুমিই কি দেবী ভারতী কৃপাগুণে অন্ধ আঁখি ফুটালে,
উষা আনিলে প্রাণের আঁধারে,
প্রকৃতির রাগিনী শিখাইলে?
তুমি ধন্য গো,
রব’ চিরকাল চরণ ধরি তোমারি।
এবে কবিতাময় জগত চরাচর,
সব শোভাময় নেহারি।
ছন্দে উঠিছে চন্দ্রমা, ছন্দে কনকরবি উদিছে,
ছন্দে জগমণ্ডল চলিছে,
জ্বলন্ত কবিতা তারকা সবে–
এ কবিতার মাঝে তুমি কে গো দেবি
আলোকে আলো আঁধারি!
আজি মলয় আকুল বনে বনে একি এ গীত গাহিছে,
ফুল কহিছে প্রাণের কাহিনী,
নব রাগ রাগিনী উছাসিছে–
এ আনন্দে আজ গীত গাহে মোর হৃদয় সব অবারি!
তুমিই কি দেবী ভারতী কৃপাগুণে অন্ধ আঁখি ফুটালে,
উষা আনিলে প্রাণের আঁধারে,
প্রকৃতির রাগিনী শিখাইলে?
তুমি ধন্য গো,
রব’ চিরকাল চরণ ধরি তোমারি।
গৌড় মল্লার
হৃদয়ে রাখ, গো দেবি, চরণ তোমার।
এস, মা করুণারাণী, ও বিধু-বদনখানি
হেরি হেরি আঁখি ভরি হেরিব আবার।
এসো আদরিণী বাণী সমুখে আমার।
মৃদু মৃদু হাসি হাসি বিলাও অমৃতরাশি–
আলোয় করেছ আলো, স্নেহের প্রতিমা,
তুমি গো লাবণ্যলতা, মূর্তি মধুরিমা।
বসন্তের বনমালা, অতুল রূপের ডালা,
মায়ার মোহিনী মেয়ে ভাবের আধার,
ঘুচাও মনের মোর সকল আঁধার।
এস, মা করুণারাণী, ও বিধু-বদনখানি
হেরি হেরি আঁখি ভরি হেরিব আবার।
এসো আদরিণী বাণী সমুখে আমার।
মৃদু মৃদু হাসি হাসি বিলাও অমৃতরাশি–
আলোয় করেছ আলো, স্নেহের প্রতিমা,
তুমি গো লাবণ্যলতা, মূর্তি মধুরিমা।
বসন্তের বনমালা, অতুল রূপের ডালা,
মায়ার মোহিনী মেয়ে ভাবের আধার,
ঘুচাও মনের মোর সকল আঁধার।