Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
ছড়া-৮, ৪
ছড়া
পলতা কিনতে গেল ধুবড়ি,
কিনল গুগলি এক-চুবড়ি।
হুগলির গুগলি কী মাগগি,
ভাঙা হাটে পাওয়া গেল ভাগ্যি।
ধুবড়িতে মানকচু সস্তা,
ফাউ পেল কাগজ দু বস্তা।
দেখে বলে নীলমণি সরকার—
কাগজে হরুর খুব দরকার;
জ্যামিতি অতীত তার সাধ্যর,
যতই করুন তারে মারধোর।
কাগজে বসিয়ে রেখে নারকেল
পেন্সিলে কাটে ব’সে সার্কেল।
সার্কেল কাটতে সে কী বুঝে
খামকাই ঠেকে গেল ত্রিভুজে।
সইতে পারে না তার চাপুনি,
পালাজ্বরে দিল তারে কাঁপুনি।
শ্রাদ্ধবাড়িতে লেগে ঠাণ্ডা
হেঁচে মরে ত্রিবেণীর পাণ্ডা।
অবেলায় খেতে বসে দারোগা,
শির শির ক’রে ওঠে তারো গা।
টাট্টু ঘোড়ার এক গাড়িতে
ডাক্তার এল তার বাড়িতে।
সে-ঘোড়াটা বেড়া ভাঙে নন্দর,
চিহ্ন রাখে না খেত-খন্দর।
নন্দ বিকেলে গেল হাবড়ায়,
সারি সারি গাড়ি দেখে ঘাবড়ায়।
গোনে ব’সে, তিন চার পাঁচ সাত,
আউড়িয়ে যায় সারা ধারাপাত।
গুনে গুনে পারে না যে থামতে,
গল্গল্ ক’রে থাকে ঘামতে।
নয় দশ বারো তেরো চোদ্দ,
মনে পড়ে পয়ারের পদ্য।
কিনল গুগলি এক-চুবড়ি।
হুগলির গুগলি কী মাগগি,
ভাঙা হাটে পাওয়া গেল ভাগ্যি।
ধুবড়িতে মানকচু সস্তা,
ফাউ পেল কাগজ দু বস্তা।
দেখে বলে নীলমণি সরকার—
কাগজে হরুর খুব দরকার;
জ্যামিতি অতীত তার সাধ্যর,
যতই করুন তারে মারধোর।
কাগজে বসিয়ে রেখে নারকেল
পেন্সিলে কাটে ব’সে সার্কেল।
সার্কেল কাটতে সে কী বুঝে
খামকাই ঠেকে গেল ত্রিভুজে।
সইতে পারে না তার চাপুনি,
পালাজ্বরে দিল তারে কাঁপুনি।
শ্রাদ্ধবাড়িতে লেগে ঠাণ্ডা
হেঁচে মরে ত্রিবেণীর পাণ্ডা।
অবেলায় খেতে বসে দারোগা,
শির শির ক’রে ওঠে তারো গা।
টাট্টু ঘোড়ার এক গাড়িতে
ডাক্তার এল তার বাড়িতে।
সে-ঘোড়াটা বেড়া ভাঙে নন্দর,
চিহ্ন রাখে না খেত-খন্দর।
নন্দ বিকেলে গেল হাবড়ায়,
সারি সারি গাড়ি দেখে ঘাবড়ায়।
গোনে ব’সে, তিন চার পাঁচ সাত,
আউড়িয়ে যায় সারা ধারাপাত।
গুনে গুনে পারে না যে থামতে,
গল্গল্ ক’রে থাকে ঘামতে।
নয় দশ বারো তেরো চোদ্দ,
মনে পড়ে পয়ারের পদ্য।