ছেঁড়া মেঘের আলো পড়ে
দেউলচূড়ার ত্রিশূলে;
কলুবুড়ি শাকসবজি
তুলেছে পাঁচমিশুলে।
চাষী খেতের সীমানা দেয়
উঁচু ক ' রে আল তুলে;
নদীতে জল কানায় কানায়,
ডিঙি চলে পাল তুলে।
কোমর-ঘেরা আঁচলখানা,
হাতে পানের কৌটা—
ঘোষপাড়াতে হনহনিয়ে
চলে নাপিতবউটা।
গোকুল ছোঁড়া গুঁড়ি আঁকড়ে
ওঠে গাছের উপুরি,
পেড়ে আনে থোলো থোলো
কাঁচা কাঁচা সুপুরি।
বর্ষাজলের ঢল নেমেছে,
ছাপিয়ে গেল বাঁধখানা,
পাড়ির কাছে ডুবো ডিঙি
যাচ্ছে দেখা আধখানা।
লখা চলে ছাতা মাথায়,
গৌরী-কনের বর—
ড্যাঙ ড্যাঙাড্যাঙ বাদ্যি বাজে,
চড়কডাঙায় ঘর।
ভাগুমালী লাউডাঁটাতে
ভরেছে তার ঝাঁকাটা,
কামার পিটোয় দুম্দুমিয়ে
গোরুর গাড়ির চাকাটা।
মাঠের ধারে ধক্ধকিয়ে