অকল্যাণের শঙ্কা সারাক্ষণ।
আয়ুলাভের তরে
বলির পশুর রক্ত লাগায় শিশুর ললাট- ' পরে।
রাত্রিদিবস সাবধানে তার চলা,
অশুচিতার ছোঁয়াচ কোথায় যায় না কিছুই বলা।
ও দিকেতে মাঠে বাটে দস্যুরা দেয় হানা,
এ দিকে সংসারের পথে অপদেব্তা নানা।
জানা কিম্বা না-জানা সব অপরাধের বোঝা,
ভয়ে তারই হয় না মাথা সোজা।
এরই মধ্যে গুন্গুনিয়ে উঠল কাহার স্বর —
‘ এপার গঙ্গা ওপার গঙ্গা, মধ্যিখানে চর। '
সেদিনও সেই বইতেছিল উদার নদীর ধারা,
ছায়া-ভাসান দিতেছিল সাঁজ-সকালের তারা।
হাটের ঘাটে জমেছিল নৌকো মহাজনি,
রাত না যেতে উঠেছিল দাঁড়-চালানো ধ্বনি।
শান্ত প্রভাতকালে
সোনার রৌদ্র পড়েছিল জেলেডিঙির পালে।
সন্ধেবেলায় বন্ধ আসা-যাওয়া,
হাঁস-বলাকার পাখার ঘায়ে চমকেছিল হাওয়া।
ডাঙায় উনুন পেতে
রান্না চড়েছিল মাঝির বনের কিনারেতে।
শেয়াল ক্ষণে ক্ষণে
উঠতেছিল ডেকে ডেকে ঝাউয়ের বনে বনে।
কোথায় গেল সেই নবাবের কাল,
কাজির বিচার, শহর-কোতোয়াল।
পুরাকালের শিক্ষা এখন চলে উজান-পথে,
ভয়ে-কাঁপা যাত্রা সে নেই বলদ-টানা রথে।
ইতিহাসের গ্রন্থে আরো খুলবে নতুন পাতা,