Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
গীতিমাল্য- ৯৯
৯৯
তার অন্ত নাই গো যে
আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ।
তার অণু-পরমাণু পেল কত আলোর সঙ্গ।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
তারে মোহন-মন্ত্র দিয়ে গেছে কত ফুলের গন্ধ।
তারে দোলা দিয়ে দুলিয়ে গেছে কত ঢেউয়ের ছন্দ।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
আছে কত সুরের সোহাগ যে তার স্তরে স্তরে লগ্ন
সে যে কত রঙের রসধারায় কতই হল মগ্ন।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
কত শুকতারা যে স্বপ্নে তাহার রেখে গেছে স্পর্শ।
কত বসন্ত যে ঢেলেছে তার অকারণের হর্ষ।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
সে যে প্রাণ পেয়েছে পান করে যুগ-যুগান্তরের স্তন্য
ভুবন কত তীর্থজলের ধারায় করেছে তায় ধন্য।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
সে যে সঙ্গিনী মোর আমারে সে দিয়েছে বরমাল্য।
আমি ধন্য, সে মোর অঙ্গনে যে কত প্রদীপ জ্বালল।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
তার অণু-পরমাণু পেল কত আলোর সঙ্গ।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
তারে মোহন-মন্ত্র দিয়ে গেছে কত ফুলের গন্ধ।
তারে দোলা দিয়ে দুলিয়ে গেছে কত ঢেউয়ের ছন্দ।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
আছে কত সুরের সোহাগ যে তার স্তরে স্তরে লগ্ন
সে যে কত রঙের রসধারায় কতই হল মগ্ন।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
কত শুকতারা যে স্বপ্নে তাহার রেখে গেছে স্পর্শ।
কত বসন্ত যে ঢেলেছে তার অকারণের হর্ষ।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
সে যে প্রাণ পেয়েছে পান করে যুগ-যুগান্তরের স্তন্য
ভুবন কত তীর্থজলের ধারায় করেছে তায় ধন্য।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।
সে যে সঙ্গিনী মোর আমারে সে দিয়েছে বরমাল্য।
আমি ধন্য, সে মোর অঙ্গনে যে কত প্রদীপ জ্বালল।
ও তার অন্ত নাই গো নাই।