Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
স্ফুলিঙ্গ- ৬৬
স্ফুলিঙ্গ
নম্র নমস্কার তারে
দেয় ফুলে ফলে।
বর্তমানেরে বলি দিয়া করে
অতীতের অর্চনা।
লিখে গেল ভোররাতে
আলোকের আগমনী
আঁধারের শেষপাতে।
স্তব্ধ হয়ে ছিল রাত্রিদিন,
সপ্তর্ষির দৃষ্টিতলে
বাক্যহীন শুভ্রতায় লীন,
সে তুষারনির্ঝরিণী
রবিকরস্পর্শে উচ্ছ্বসিতা
দিগ্দিগন্তে প্রচারিছে
অন্তহীন আনন্দের গীতা।
আকাশের তিমিরগুণ্ঠন
করো উন্মোচন।
দেয় ফুলে ফলে।
২৫১
স্মৃতিকাপালিনী পূজারতা, একমনা,
বর্তমানেরে বলি দিয়া করে
অতীতের অর্চনা।
২৫২
হাসিমুখে শুকতারা
লিখে গেল ভোররাতে
আলোকের আগমনী
আঁধারের শেষপাতে।
২৫৩
হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা
স্তব্ধ হয়ে ছিল রাত্রিদিন,
সপ্তর্ষির দৃষ্টিতলে
বাক্যহীন শুভ্রতায় লীন,
সে তুষারনির্ঝরিণী
রবিকরস্পর্শে উচ্ছ্বসিতা
দিগ্দিগন্তে প্রচারিছে
অন্তহীন আনন্দের গীতা।
২৫৪
হে উষা, নিঃশব্দে এসো,
আকাশের তিমিরগুণ্ঠন
করো উন্মোচন।