Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
স্ফুলিঙ্গ- ৬৫
স্ফুলিঙ্গ
যাওয়া-আসার পথে পথে
দেয় সে আপন আলো ঢালি।
পায় সে ফিরে মেঘের কোণে,
পায় ফাগুনের পারুলবনে
প্রতিদানের রঙের ডালি।
ধূলিবিলুণ্ঠিত হয় কালের চরণঘাত লেগে।
যে নদীর ক্লান্তি ঘটে মধ্যপথে সিন্ধু-অভিসারে
অবরুদ্ধ হয় পঙ্কভারে।
নিশ্চল গৃহের কোণে নিভৃতে স্তিমিত যেই বাতি
নির্জীব আলোক তার লুপ্ত হয় না ফুরাতে রাতি।
পান্থের অন্তরে জ্বলে দীপ্ত আলো জাগ্রত নিশীথে
জানে না সে আঁধারে মিশিতে।
ঊর্ধ্বে খোঁজে আপন মহিমা।
গতিবেগ সরোবরে থেমে চায় চুপে
গভীরে খুঁজিতে নিজ সীমা।
আকাশেরে ঢাকে,
আকাশ তাহার কোনো
চিহ্ন নাহি রাখে।
তপ্ত মাটি তৃপ্ত যবে
হয় তার জলে
দেয় সে আপন আলো ঢালি।
পায় সে ফিরে মেঘের কোণে,
পায় ফাগুনের পারুলবনে
প্রতিদানের রঙের ডালি।
২৪৮
স্তব্ধ যাহা পথপার্শ্বে, অচৈতন্য, যা রহে না জেগে,
ধূলিবিলুণ্ঠিত হয় কালের চরণঘাত লেগে।
যে নদীর ক্লান্তি ঘটে মধ্যপথে সিন্ধু-অভিসারে
অবরুদ্ধ হয় পঙ্কভারে।
নিশ্চল গৃহের কোণে নিভৃতে স্তিমিত যেই বাতি
নির্জীব আলোক তার লুপ্ত হয় না ফুরাতে রাতি।
পান্থের অন্তরে জ্বলে দীপ্ত আলো জাগ্রত নিশীথে
জানে না সে আঁধারে মিশিতে।
২৪৯
স্তব্ধতা উচ্ছ্বসি উঠে গিরিশৃঙ্গরূপে,
ঊর্ধ্বে খোঁজে আপন মহিমা।
গতিবেগ সরোবরে থেমে চায় চুপে
গভীরে খুঁজিতে নিজ সীমা।
২৫০
স্নিগ্ধ মেঘ তীব্র তপ্ত
আকাশেরে ঢাকে,
আকাশ তাহার কোনো
চিহ্ন নাহি রাখে।
তপ্ত মাটি তৃপ্ত যবে
হয় তার জলে