কী দেখাব হায়। ”
অন্ধকার ভাগ করি, আঁধারের রাজ্য লয়ে
চলিছে বিবাদ।
সখারে বধিছে সখা, সন্তানে হানিছে পিতা,
ঘোর পরমাদ।
মৃতদেহ পড়ে থাকে, শকুনি বিবাদ করে
কাছে ঘুরে ঘুরে।
মাংস লয়ে টানাটানি করিতেছে হানাহানি
শৃগালে কুকুরে।
অন্ধকার ভেদ করি অহরহ শুনা যায়
আকুল বিলাপ —
আহতের আর্তস্বর, হিংসার উল্লাসধ্বনি
ঘোর অভিশাপ।
মাঝে মাঝে থেকে থেকে কোথা হতে ভেসে আসে
ফুলের সুবাস —
প্রাণ যেন কেঁদে ওঠে, অশ্রুজলে ভাসে আঁখি,
উঠে রে নিশ্বাস।
চারি দিক ভুলে যাই, প্রাণে যেন জেগে ওঠে
স্বপন-আবেশ —
কোথা রে ফুটেছে ফুল, আঁধারের কোন্ তীরে
কোথা কোন্ দেশ!
রুদ্ধপ্রাণ ক্ষুদ্র প্রাণী, রুদ্ধ প্রাণীদের সাথে
কত রে রহিব —
ছোটো ছোটো সুখ দুখ, ছোটো ছোটো আশাগুলি
পুষিয়া রাখিব!
নিদ্রাহীন আঁখি মেলি পুরব-আকাশ-পানে
রয়েছি চাহিয়া —
কবে রে প্রভাত হবে, আনন্দে বিহঙ্গগুলি
উঠিবে গাহিয়া।