চায় চারি ধারে —
ঘোর আঁধারের মাঝে কোথা কী লুকায়ে আছে
কে বলিতে পারে।
গহন বনের মাঝে চলিয়াছে শিশু
মার হাত ধরে,
মুহূর্ত ছেড়েছে হাত, পড়েছে পিছায়ে
খেলাবার তরে —
অমনি হারায়ে পথ কেঁদে ওঠে শিশু,
ডাকে “ মা মা ” বলে —
“ আয় মা, আয় মা, আয়, কোথা চলে গেলি,
মোরে নে মা কোলে। ”
মা অমনি চমকিয়া “ বাছা বাছা ” বলে ছোটে,
দেখিতে না পায় —
শুধু সেই অন্ধকারে “ মা মা ” ধ্বনি পশে কানে,
চারি দিকে চায়।
সহসা সমুখ দিয়া কে গেল ছায়ার মতো,
লাগিল তরাস,
কে জানে সহসা যেন কোথা কোন্ দিক হতে
শুনি দীর্ঘশ্বাস।
কে বসে রয়েছে পাশে? কে ছুঁইল দেহ মোর
হিমহস্তে তার?
ও কী ও? এ কী রে শুনি! কোথা হতে উঠিল রে
ঘোর হাহাকার?
ও কী হোথা দেখা যায় — ওই দূরে অতি দূরে
ও কিসের আলো?
ও কী ও উড়িছে শূন্যে দীর্ঘ নিশাচর পাখি?
মেঘ কালো কালো?
এই আঁধারের মাঝে কত-না অদৃশ্য প্রাণী
কাঁদিছে বসিয়া —