কখনো সমুখে কখনো পশ্চাতে,
আমার আঁধার কায়া।
গভীর নিশীথে একাকী যখন
বসিয়া মলিন প্রাণে,
চমকি উঠিয়া দেখিবি তরাসে
আমিও রয়েছি বসে তোর পাশে
চেয়ে তোর মুখপানে।
যে দিকেই তুই ফিরাবি বয়ান
সেই দিকে আমি ফিরাব নয়ান,
যে দিকে চাহিবি আকাশে আমার
আঁধার মুরতি আঁকা।
সকলি পড়িবে আমার আড়ালে,
জগৎ পড়িবে ঢাকা।
দুঃস্বপ্নের মতো, দুর্ভাবনাসম,
তোমারে রহিব ঘিরে —
দিবস-রজনী এ মুখ দেখিব
তোমার নয়ননীরে।
বিশীর্ণকঙ্কাল চিরভিক্ষাসম
দাঁড়ায়ে সম্মুখে তোর
‘ দাও দাও ' বলে কেবলি ডাকিব
ফেলিব নয়নলোর।
কেবলি সাধিব, কেবলি কাঁদিব,
কেবলি ফেলিব শ্বাস —
কানের কাছেতে প্রাণের কাছেতে
করিব রে হা-হুতাশ।
মোর এক নাম কেবলি বসিয়া
জপিব কানেতে তব,
কাঁটার মতন দিবস রজনী
পায়েতে বিঁধিয়ে রব।
পূর্বজনমের অভিশাপ-সম
রব আমি কাছে কাছে,
ভাবী জনমের অদৃষ্টের মতো