Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://rabindra-rachanabali.nltr.org)
ছবি ও গান - বাদল, ১
বাদল
একলা ঘরে বসে আছি, কেউ নেই কাছে,
সারাটা দিন মেঘ করে আছে।
সারাদিন বাদল হল,
সারাদিন বৃষ্টি পড়ে,
সারাদিন বইছে বাদল-বায়!
মেঘের ঘটা আকাশভরা,
চারি দিকে আঁধার-করা,
তড়িৎ-রেখা ঝলক মেরে যায়।
শ্যামল বনের শ্যামল শিরে
মেঘের ছায়া নেমেছে রে ,
মেঘের ছায়া কুঁড়েঘরের'পরে,
ভাঙাচোরা পথের ধারে
ঘন বাঁশের বনের ধারে
মেঘের ছায়া ঘনিয়ে যেন ধরে।
বিজন ঘরে বাতায়নে
সারাটা দিন আপন মনে
বসে বসে বাইরে চেয়ে দেখি,
টুপুটুপু বৃষ্টি পড়ে,
পাতা হতে পাতায় ঝরে,
ডালে বসে ভেজে একটি পাখি।
তালপুকুরে জলের'পরে
বৃষ্টিবারি নেচে বেড়ায়,
ছেলেরা মেতে বেড়ায় জলে,
মেয়েগুলি কলসী নিয়ে
চলে আসে পথ দিয়ে,
আঁধারভরা গাছের তলে তলে!
কে জানে কী মনেতে আশ,
উঠছে ধীরে দীর্ঘনিশাস,
সারাটা দিন মেঘ করে আছে।
সারাদিন বাদল হল,
সারাদিন বৃষ্টি পড়ে,
সারাদিন বইছে বাদল-বায়!
মেঘের ঘটা আকাশভরা,
চারি দিকে আঁধার-করা,
তড়িৎ-রেখা ঝলক মেরে যায়।
শ্যামল বনের শ্যামল শিরে
মেঘের ছায়া নেমেছে রে ,
মেঘের ছায়া কুঁড়েঘরের'পরে,
ভাঙাচোরা পথের ধারে
ঘন বাঁশের বনের ধারে
মেঘের ছায়া ঘনিয়ে যেন ধরে।
বিজন ঘরে বাতায়নে
সারাটা দিন আপন মনে
বসে বসে বাইরে চেয়ে দেখি,
টুপুটুপু বৃষ্টি পড়ে,
পাতা হতে পাতায় ঝরে,
ডালে বসে ভেজে একটি পাখি।
তালপুকুরে জলের'পরে
বৃষ্টিবারি নেচে বেড়ায়,
ছেলেরা মেতে বেড়ায় জলে,
মেয়েগুলি কলসী নিয়ে
চলে আসে পথ দিয়ে,
আঁধারভরা গাছের তলে তলে!
কে জানে কী মনেতে আশ,
উঠছে ধীরে দীর্ঘনিশাস,