চতুর্দোলা নামাও রে দাসদাসী।
মিলেছি আজ মেত্রিপুরবাসী
মেত্রিপতির চিতা রচিবারে।
মেত্রিরাজা যুদ্ধে হত আজি,
দুঃসময়ে কারা এলে দ্বারে? '
‘ বাজাও বাঁশি, ওরে, বাজাও বাঁশি '
চতুর্দোলা হতে বধূ বলে,
‘ এবার লগ্ন আর হবে না পার,
আঁচলে গাঁঠ খুলবে না তো আর —
শেষের মন্ত্র উচ্চারো এইবার
শ্মশান - সভায় দীপ্ত চিতানলে।'
‘ বাজাও বাঁশি, ওরে, বাজাও বাঁশি '
চতুর্দোলা হতে বধূ বলে।
বরের বেশে মোতির মালা গলে
মেত্রিপতি চিতার'পরে শুয়ে।
দোলা হতে নামল আসি নারী,
আঁচল বাঁধি রক্তবাসে তাঁরি
শিয়র - ' পরে বৈসে রাজকুমারী
বরের মাথা কোলের'পরে থুয়ে।
নিশীথ - রাতে মিলনসজ্জা - পরা
মেত্রিপতি চিতার'পরে শুয়ে।
ঘন ঘন জাগল হুলুধ্বনি,
দলে দলে আসে পুরাঙ্গনা।
কয় পুরোহিত ‘ ধন্য সুচরিতা ',
গাহিছে ভাট ‘ ধন্য মৃত্যুজিতা ',
ধূ ধূ করে জ্বলে উঠল চিতা —