লক্ষ্মী খোঁজে শুধু বলীর বাহু,
চাহে না ধর্মের পানে!’
‘ আমরা হইলাম পিতৃহারা’
কাঁদিয়া কহে দশ দিক —
‘ সকল জগতের বন্ধু যাঁরা
তাঁদের শত্রুরে ধিক্!’
শুনিয়া কাশীরাজ উঠিল রাগি —
‘ নগরে কেন এত শোক!
আমি তো আছি, তবু কাহার লাগি
কাঁদিয়া মরে যত লোক!
আমার বাহুবলে হারিয়া তবু
আমারে করিবে সে জয়!
অরির শেষ নাহি রাখিবে কভু
শাস্ত্রে এইমতো কয়।
মন্ত্রী, রটি দাও নগরমাঝে
ঘোষণা করো চারি ধারে —
যে ধরি আনি দিবে কোশলরাজে
কনক শত দিব তারে।’
ফিরিয়া রাজদূত সকল বাটী
রটনা করে দিনরাত ;
যে শোনে আঁখি মুদি রসনা কাটি
শিহরি কানে দেয় হাত।
রাজ্যহীন রাজা গহনে ফিরে
মলিনচীর দীনবেশে,
পথিক একজন অশ্রুনীরে
একদা শুধাইল এসে,
‘ কোথা গো বনবাসী, বনের শেষ,
কোশলে যাব কোন্ মুখে ?’
শুনিয়া রাজা কহে, ‘ অভাগা দেশ,
সেথায় যাবে কোন্ দুখে !’