তুই যে আমার পিপাসার জল!
     কেন রে জাগিছে মনে ভয়!
কেন আজি তোরে,
     হারাই হারাই মনে হয়!
          কে জানে!

[লীলার প্রস্থান

অন্ধ।  এতক্ষণে বুঝি এলি রে!

হৃদিমাঝে আয় রে, বাছা রে!
কোথা ছিলি বনে, এ ঘোর রাতে,
এ দুর্য্যোগে, অন্ধ পিতারে ভুলি!
আছি সারানিশি হায় রে
পথ চাহিয়ে, আছি তৃষায় কাতর–
দে মুখে বারি, কাছে আয় রে!

দশরথ।  অজ্ঞানে করো হে ক্ষমা, তাত, ধরি চরণে–

     কেমনে কহিব, শিহরি আতঙ্কে!
আঁধারে সন্ধানি শর খরতর
     করী-ভ্রমে বধি তব পুত্রবর,
     গ্রহদোষে পড়েছি পাপপঙ্কে!

অন্ধ।   কী বলিলে, কী শুনিলাম, একি কভু হয়!

এই যে জল আনিবারে গেল সে সরযূতীরে–
কার সাধ্য বধে, সে যে ঋষির তনয়!
সুকুমার শিশু সে যে, স্নেহের বাছা রে,