আমার কেমন মনে হল, আরো যেন অনেক আছে বাকি —
সে নইলে সব ফাঁকি।
এ শুধু আধখানা ;
কোন্ মানিকের অভাব আছে এ মালা তাই কানা।
হয় নি, পাওয়া সেই কথাটাই কেন মনের মাঝে
এমন করে বাজে।
চল্ রে ফিরে বিড়ম্বিত, আবার ফিরে চল,
দেখবি খুঁজে বিজন সভাতল —
যদি রে তোর ভাগ্যদোষে
ধুলায় কিছু পড়ে থাকে খসে।
যদি সোনার থালা
লুকিয়ে রাখে আর-কোনো এক মালা।
সন্ধ্যাকাশে শান্ত তখন হাওয়া ;
দেখি সভার দুয়ার বন্ধ, ক্ষান্ত তখন সকল চাওয়া-পাওয়া।
নাই কোলাহল, নাইকো ঠেলাঠেলি
তরুশ্রেণী স্তব্ধ যেন শিবের মতন যোগের আসন মেলি।
বিজন পথে আঁধার গগনতলে
আমার মালার রতনগুলি আর কি তেমন জ্বলে।
আকাশের ওই তারার কাছে
লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে আছে।
দিনের আলোয় ভুলিয়েছিল মুগ্ধ আঁখি
আঁধারে তার ধরা পড়ল ফাঁকি।
এরই লাগি এত বিবাদ, সারাদিনের এত দুখের পালা?
লও ফিরে লও তোমার বিজয়মালা।
ঘনিয়ে এল রাতি।
হঠাৎ দেখি তারার আলোয় সেই যে আমার পথের তরুণ সাথি
আপন মনে
গান গেয়ে যায় রানীর কুঞ্জবনে।