পথে যখন বাহির হলেম মালা মাথায় প ' রে
মনে হল বিশ্ব আমার চতুর্দিকে ঘোরে
ঘূর্ণি ধুলার মতো।
মানুষ শত শত
ঘিরল আমায় দলে দলে —
কেউ বা কৌতূহলে,
কেউ বা স্তুতিচ্ছলে,
কেউ বা গ্লানির পঙ্ক দিতে গায়।
হায় রে হায়
এক নিমেষে স্বচ্ছ আকাশ ধূসর হয়ে যায়।
এই ধরণীর লাজুক যত সুখ ,
ছোটোখাটো আনন্দের ই সরল হাসিটুক,
নদীচরের ভীরু হংসদলের মতো
কোথায় হল গত।
আমি মনে মনে ভাবি, “ এ কি দহনজ্বালা
আমার বিজয়মালা। ”
ওগো রানী, তোমার হাতে আর-কিছু কি নেই।
শুধু কেবল বিজয়মালা এই?
জীবন আমার জুড়ায় না যে
বক্ষে বাজে
তোমার মালার ভার ;
এই যে পুরস্কার
এ তো কেবল বাইরে আমার গলায় মাথায় পরি ;
কী দিয়ে যে হৃদয় ভরি
সেই তো খুঁজে মরি।
তৃষ্ণা আমার বাড়ে শুধু মালার তাপে ;
কিসের শাপে
ওগো রানী, শূন্য করে তোমার সোনার থালা
পেলেম বিজয়মালা?