ক্ষুধা পেলে কান্না তাদের অসভ্যতা,
তাদের মুখে মানায় নাকো চেঁচিয়ে কথা ;
খুশি হলে রাখবে চাপি
কোনোমতেই করবে নাকো লাফালাফি।
অপূর্ব আর পূর্ণ ছিল এদের একবয়সী ;
তাদের সঙ্গে খেলতে গেলে এরা হত পদে পদেই দোষী।
তারা এদের মারত ধড়াধ্বড় ;
এরা যদি উলটে দিত চড়,
থাকত নাকো গন্ডগোলের সীমা —
উভয় পক্ষের ই মা
কানাই বলাই দোঁহার ‘ পরে পড়ত ঝড়ের মতো,—
বিষম কান্ড হত
ডাইনে বাঁয়ে দু-ধার থেকে মারের ‘ পরে মেরে।
বিনা দোষে শাস্তি দিয়ে কোলের বাছাদেরে
ঘরের দুয়ার বন্ধ করে মাসি
থাকত উপবাসী —
চোখের জলে বক্ষ যেত ভাসি।
অবশেষে দুটি ছেলে মেনে নিল নিজেদের এই দশা।
তখন তাদের চলাফেরা ওঠাবসা
স্তব্ধ হল, শান্ত হল, হায়
পাখিহারা পক্ষিনীড়ের প্রায়।
এ সংসারে বেঁচে থাকার দাবি
ভাঁটায় ভাঁটায় নেবে নেবে একেবারে তলায় গেল নাবি ;
ঘুচে গেল ন্যায় - বিচারের আশা,
রুদ্ধ হল নালিশ করার ভাষা।
সকল দুঃখ দুটি ভায়ে করল পরিপাক
নিঃশব্দ নির্বাক।
চক্ষে আঁধার দেখত ক্ষুধার ঝোঁকে —
পাছে খাবার না থাকে, আর পাছে মায়ের চোখে
জল দেখা দেয়, তাই